আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে আগাম জামিন নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পৌর প্রশাসক

3rd October 2020 5:35 pm বাঁকুড়া
আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে আগাম জামিন নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পৌর প্রশাসক


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   একটি কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থায় অর্থ তছরুপের ঘটনায় আবেদনের ভিত্তিতে আগাম জামিন পেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমানে বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। শনিবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তিনি হাজির হয়ে ঐ জামিনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন। জানা গেছে, বিষ্ণুপুরের সিল্ক খাদি সেবা মণ্ডল নামে একটি সংস্থার পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে  অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালের ৫, মার্চ খাদি ও গ্রামোদ্যোগ আয়োগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কেশব চন্দ্র রায় বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্তে নেমে সংস্থার অভিযুক্ত সম্পাদক প্রশান্ত ব্যানার্জী ও ট্রেজারার চিন্ময়ী দে-কে গ্রেফতার করে। পরে তারা জামিনে ছাড়া পান। যদিও ঐ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনন্দ প্রকাশ সারদা এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।

সরকারী আইনজীবি মনোদ্বীপ্ত চৌধুরী বলেন, সিআইডি তদন্তে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নাম উঠে আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়। তাই তিনি বাঁকুড়া জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পেলেও উনি রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না, তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগীতা করতে হবে, পাসপোর্ট থাকলে তা আদালতে জমা রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা সহ দশ হাজার টাকার বণ্ডে তিনি আগাম জামিন পেয়েছেন বলে সরকারী আইনজীবি জানান। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আইনজীবি কুনাল কান্তি ঘোষ বলেন, উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তাই ঐ ঘটনায় আগাম জামিন নিলেন। কোন অভিযোগ বা চার্জশিটে ওনার নাম নেই। একই সঙ্গে যে সময়কার ঘটনা সেই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ঐ সংস্থার কোন পদে ছিলেন না বলে তিনি জানান। এবিষয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী আদালত থেকে বেরোনোর সময় বলেন, যে সময়কার ঘটনা আমি তখন ঐ সংস্থার পদে ছিলাম না। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণেই তার আগাম জামিনের আবেদন বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।